শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

সুন্দরগঞ্জে আমন ধান ক্ষেতে পোকা-মাকড় দমনে আলোক ফাঁদ

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকদের রোপা আমন ধান ক্ষেতে পোকা- মাকড় দমনে কীটনাশকের বিকল্প আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার বেড়েছে। পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব হওয়ায় কৃষকের কাছে পদ্ধতি দুটি দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর ব্যবহার। এ ফলে ফসল নষ্টের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন কৃষকরা। সরেজমিনে উপজেলার পৌরসভার কৃষি বস্নকে দেখা যায়, আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি স্থাপনের বিভিন্ন চিত্র। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ওই ফাঁদের ক্ষতিকর পোকা পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলা ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত থেকে অধিক ফলন ঘরে তুলতে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে কৃষকের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরামর্শ দিচ্ছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ। পোকা মাকড়ের আক্রমণে ফসলের যেন ক্ষতি না হয়, সেই চিন্তায় দমন করা হচ্ছে। ক্ষতিকর ধান ক্ষেতের প্রধান শত্রু কারেন্ট, মাজরা, গান্ধি ও চুঙ্গি পোকাসহ বাদামী ঘাস ফড়িং দমনে জমিতে আলোক ফাঁদ ও পাচির্ং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। সূর্যাস্তের পরই ক্ষেতের একটু দুরে শক্ত বাঁশ-কাঠ কিংবা তিনটি লোহার রড দিয়ে স্ট্যান্ড বানাতে হয়। সেখানে একটি পাত্রের মধ্যে পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডার মিশ্রণ করে একটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর আলোর সাহায্যে ওই পাত্রে আসতে শুরু করে উপকারি ও অপকারি পোকা।

এসব পোকার মধ্যে ক্ষতিকর পোকাগুলো চিহ্নিত করতে হয়। সেগুলো নিধন করতে কৃষি কর্মকর্তারা দিয়ে থাকেন ব্যবস্থাপত্র। এতে ব্যবহার করতে হচ্ছে, ক্যারাটে, ফাইটার, সুমিথিয়ন, একতারা, ছেতারা ও ভিরতাকো নামের কীটনাশক। এক লিটার পানি ও দুই মিলি ওষুধ মিশ্রণ করে সকালে অথবা বিকেলে স্প্রে করতে হয়। এভাবেই পোকা-মাকড় দমন করছেন কৃষকরা। একই সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতিও। আবাদকৃত আমন ধানের বিভিন্ন জমিতে গাছের ডাল ও বাঁশের কঞ্চি (খুটি) মাটিতে পুঁতে রেখে পার্চিং পদ্ধতি তৈরি করা হয়ে থাকে।

যাতে এসব ডালের উপর দোয়েল, ফিঙ্গে, শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি গিয়ে বসে রোপা ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা- মাকড় খেয়ে ফেলতে পারে। পৌর মহল্লার কৃষক আছর উদ্দিন বলেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। সেগুলো থেকে ভালো ফলন পেতে আলোক ফাঁদ ও পার্চিংয়ের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকাগুলো কীটনাশক ছিটিয়ে নিধন করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি ফসলের ওপর নির্ভরশীল। আমরা তাদের লাভবান করতে বদ্ধপরিকর। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি রোপা আমনে অধিক ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ধান ক্ষেতের পোকা-মাকড় দমনে আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার চলমান থাকবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: