রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সাকুরুল আলম মিলন : নন্দিপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলার ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।গত ২০ জুলাই ২০খ্রি.বিকাল সাড়ে ৪টায় খিলগাঁও থানার নন্দিপাড়ার ১০৭১ দাগের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা জনাব আইয়ুব আলীর বাড়িতে বিল্লাল হোসেন এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও আইয়ুব আলীর কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়ার গলায় থাকা প্রায় ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিল্লাল হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুল হকের খুব কাছের মানুষ।
ঘটনাটি ঘটে আইয়ুব আলীর বাসার সাথে তার এবং তার আত্মীয় বিল্লাল হোসেন এর যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা গরুর খামার ঘিরে।
বিল্লাল হোসেন একটা ক্ষুদ্র ঋণদান সমিতি পরিচালনা করেন। একারণে প্রায়ই ঋণ গ্রহীতাদের সাথে বিল্লালের ঝামেলা লেগেই থাকে। এমনকি অনেক সময় লোক জন ধরে এনে গরুর খামারের মধ্যে বেঁধে রাখে এবং অত্যাচার করে। ফলে অনেক সময় পুলিশসহ সরকারি অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা এসে জনাব আইয়ুব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্ন ভাবে হেনস্থাও করে। এতে করে আইয়ুব আলী সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হলে তিনি তাঁর ব্যবসায়ীক অংশীদার বিল্লালের এহেন কার্যকলাপের বিরোধিতা করলে বিল্লাল প্রতি হিংসাপরায়ণ হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে এই ঘটনা ঘটায় বলে আইয়ুব আলীর কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়া দাবী করেন।
এঘটনায় আইয়ুব আলী, তার কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়া এবং নাতনী সায়মা আহত হন। আহত ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
এব্যাপারে বিল্লাল হোসেন (৪৫), পিতা- মৃত জব্বার মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যান্য আসামীরা হলেন আমির হোসেন (৩৫), পিতা – ঐ, মুক্তা আক্তার (১৯), স্বামী- বিল্লাল হোসেন, ফজর আলী (৬০), পিতা – মৃত জব্বার মিয়া, আফসার উদ্দিন আফসু (৩৭), পিতা – আঃ রশিদ সরকার, আঃ সত্তার (৪৫), পিতা- মৃত হযরত আলী, মোঃ আলমাস (৫০), পিতা-মৃত জব্বার মিয়া এবং জেসমিন আক্তার (৪৫), স্বামী-আলমাস।
এদিকে থানায় মামলা করায় উক্ত আসামীরা বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টিসহ প্রাণনাশের ও হুমকি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে আজিজুলকে সমর্থন না করায় একই এলাকার নিবাসী বেবি এডুকেশন এর (প্রধান শিক্ষক) জহিরুল ইসলাম চরম বিপাকে পড়েন। যার বিস্তারিত দৈনিককে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এমতাবস্থায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছে ভিকটিম পরিবার।