শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

একে একে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি : প্রধানমন্ত্রী

চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের মৃত্যুতে সংসদে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান জানান, ফারুক ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্র জীবনে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। নিষ্ঠা ও সাহসের সঙ্গে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রেখেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে আমরা একে একে সব মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে ফেলছি।

বুধবার (৩১ মে) জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি দলের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে সংসদ। এর আগে, সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আলোচনায় অংশ নেন। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এভাবে চলে যাবেন তা কখনো ভাবিনি। আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক সইবার ক্ষমতা দিক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল রাজনীতি নয় আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাট ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আমরা তাকে সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন তার নাম নিতেই কেউ সাহস পাচ্ছিলেন না তখন সাংস্কৃতিক কর্মীরা এগিয়ে এসেছিলেন। স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ফারুক ভূমিকা রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর দাদি সায়েরা খাতুন ১৯৭৪ সালের ৩১ মে মৃত্যুবরণ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি তার স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। তিনি সবার কাছে তার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং বলেন, আমার দাদি জন্ম দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি এনে দিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতা। এজন্যই আজকে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি।

তিনি বলেন, চলতি সংসদে আমরা এত সংখ্যক সংসদ সদস্য হারিয়েছি, যা অতীতে কখনো ঘটেনি।

পরে আকবর হোসেন পাঠানসহ মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী।

শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, হাবীব হাসান, মেহের আফরোজ, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. কবীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন পঙ্কজ ভট্টাচার্য, কথাশিল্পী সমরেশ মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, ভাষাসৈনিক এম এ ওয়াদুদের সহধর্মিনী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদ।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে হতাহত, বাংলাদেশে আহত এবং দেশ বিদেশে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতের স্মরণ করে সংসদ শোক জানিয়েছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: