শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক : জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে ‘গানের পাখি’ বলেই ডাকা হয় তাকে। সুরের জাদুতে এদেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৫৪ সালর ৪ সেপ্টেম্বর সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম। তার পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। তার পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই গান করেছেন।
এই গানের মানুষ ৬৬ বছরে পা দিলেন। তেমন কোনো আয়োজন ছাড়াই কাটছে তার বিশেষ এ দিন। তার ভাষায় বয়স অনেক বয়স হয়েছে, এখন আর জন্মদিনের বিশেষত্ব নেই।
হৈ-হুল্লোড় করার সেই মানসিকতাও নেই। তিনি আরো বলেন জন্মদিন উপলক্ষে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বিভিন্ন রকম আয়োজন করে থাকেন। তাদের সঙ্গে কেক কাটতে হয়। কিন্তু করোনার কারণে এবার সেটাও হচ্ছে না।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে কত হাজার গান কণ্ঠে তুলেছেন তার সঠিক হিসাব করা মুশকিল। এর সঠিত তথ্য সাবিনা ইয়াসমিন হয়তো নিজে দিতে পারবেন না। তবে ধারণা করা হয় দশ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। দেড় হাজারের অধিক চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠে তুলেছেন এই শিল্পী।
ভারতীয় উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে গান করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কিশোর কুমার, মান্না দের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন তিনি। আবার মরমী শিল্পী আবদুল আলীম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের উঠতি শিল্পীদের সঙ্গেও গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন।
সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ১৯৮৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলা চলচ্চিত্রের গান গেয়ে গায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তিনি। এ পর্যন্ত চৌদ্দবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।