শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক :: করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও নারী চারজন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো পাঁচ হাজার ৮৬১ জনে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১টি পরীক্ষাগারে ১২ হাজার ৫০৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৩৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো এক হাজার ৪৯৩ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো চার লাখ তিন হাজার ৭৯ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৩২১টি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬১০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা তিন লাখ ১৯ হাজার ৭৩৩ জনে দাঁড়ালো। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১২দশমিক ৮ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৩২ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৬ অক্টোবর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, আর মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ লাখ ৬৭ হাজারের ঘরে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে অষ্টাদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।