শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

রাজনীতি-বিজ্ঞানের কবিতা – হারুন রশীদ

এটি কোনো কবিতা নয়
রাজনীতি-বিজ্ঞানের গভীর তত্ত্বও নয়-
রাজনৈতিক সাহিত্যের সহজ পাঠ,
একটি জাতির মর্মকথা
একটি ব্যতিক্রমী কথাশিল্প,
এর শিরোনাম হতে পারে
রাজনীতি-বিজ্ঞানের কবিতা
অথবা রাজনীতির শিল্পকলা;
হতে পারে-
বাঙালির জীবন ও সংগ্রামের মহাকাব্য,
যাতে বিধৃত রয়েছে
মুক্তিসংগ্রামের শৈল্পিক অভিব্যক্তি।
এমন একটি কবিতা
যাতে ঢেলে দেয়া হয়েছে-
বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা
আর আবেগ-অনুভূতির সবটুকু;
যাতে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত
এক বজ্রকণ্ঠশিল্পীর তেজদীপ্ত উচ্চারণ,
যা নির্মিত হয়েছে
শিল্পীর রং-তুলির আদলে,
অর্থপূর্ণ সব শব্দভান্ডারে সুবিন্যস্ত
শৈল্পিক সৌন্দর্যে বিন্যস্ত,
কথামালায় পরিপূর্ণ
সুর ও ছন্দের গতিময়তায় প্রবাহমান।
বাঙালির হাজার বছরের
এ এক অনন্য সৃষ্টিকর্ম-
“ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ”
একটি ধ্রুপদী রাজনৈতিক ভাষণ,
যা হয়ে উঠল-
স্বাধীনতার অমর কবিতা
অথবা শিল্পকর্ম,
কবি অথবা শিল্পী
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
রাজনীতি বিজ্ঞানের কবি
অথবা রাজনীতি-শিল্পের স্রষ্টা।
ধীর পদক্ষেপে শান্ত মস্তিষ্কে
অথচ দৃঢ়চিত্তে
ইম্প্রোভাইজকৃত বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করলেন
বাঙালির স্বাধীনতার মূলমন্ত্র,
যাতে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হলো
বাঙালির সংগ্রামী জীবনের মর্মবাণী,
যা হয়ে উঠলো
মানবিক মুক্তির ঐতিহাসিক সনদ-
রাজনীতি-বিজ্ঞানের কালোত্তীর্ণ কথাসাহিত্য,
যা একটি পতাকার জন্মদাতা-
একটি স্বতন্ত্র স্বশাসিত ভূখণ্ডের স্রস্টা,
একটি স্বাধীন জাতিসত্তার গৌরবগাঁথা।
৭ই মার্চ ২০২২


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: