রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

করোনা চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসোনকে স্বাগত জানালো ডব্লিউএইচও

নিউজ ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের পরীক্ষায় প্রমাণিত ‘ডেক্সামেথাসোন’ ওষুধকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনা থেকে জীবনরক্ষায় এমন সাফল্য অর্জনের জন্য মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যকে অভিনন্দন জানান ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসাস। খবর তাস নিউজ ও রয়টার্সের।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন দেশ ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কোনো কোনো দেশ নানান ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছিল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার খবর আসে, যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা সহজলভ্য ও সস্তা ওষুধ ‘ডেক্সামেথাসোন’দিয়ে করোনা রোগীদের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে সফল হয়েছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই ওষুধটি ভেন্টিলেটরে যাওয়া এক-তৃতীয়াংশ রোগীর জীবন বাঁচিয়েছে। যাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার হয়েছে, তাদের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ রোগী বেঁচে ফিরেছেন। করোনার চিকিৎসায় এমন উপকারিতা এতদিন আর কোনো ওষুধে পাওয়া যায়নি।

নতুন এ খবরকে স্বাগত জানিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস বলেন, ‘যেসব রোগীদের অক্সিজেন কিংবা ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয়, তাদের মৃত্যুহার কমানোর প্রথম ওষুধ হতে যাচ্ছে এটি। এটা দারুণ খবর।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্য সরকার, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং জীবনরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত এই ব্যাপক সাফল্য অর্জনে অবদান রাখা বিভিন্ন হাসপাতাল ও রোগীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

ডেক্সামেথাসোন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ। ১৯৬০ সালের দিক থেকে এটি নানা ধরনের প্রদাহ এবং অ্যাজমা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এখন থেকে ওষুধটি করোনা চিকিৎসায়ও ব্যবহার হবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় ২ হাজার করোনা রোগীর শরীরে ডেক্সামেথাসোন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেছিলেন। প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ মৃত্যুঝুঁকি ৪০ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনে। আর যাদের অক্সিজেন নেওয়া দরকার, সেসব রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমে ২৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।

এটি মূলত আইসিইউতে ব্যবহার করার ওষুধ। বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের জন্য নয়। উপসর্গের তীব্রতা কম থাকলে ওষুধটি কাজে আসবে না।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: