শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

সুগন্ধি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতি

বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের বিরাজমান সংকটকালে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করার সিদ্ধান্তটি একবারেই অমুলক এবং আত্মঘাতি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর অতি জরুরী সুগন্ধি চাল রপ্তানি করার সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছেন বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মু. আব্দুস সালাম।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর করা ওই আবেদনে জানানো হয়েছে, দেশে ভয়াবহ অর্থনেতিক সংকট চলছে। ডলারের দাম বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে হিসেবি হতে বলেছেন এবং হিসেব করে চলতে বলেছেন। তিনি যেকোন ভাবেই হোক রপ্তানি বাড়াতে বলেছেন এবং বেশি পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে বলেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানেন, এক কেজি সুগন্ধি চাল রপ্তানি করে প্রায় চার কেজি সাধারণ চাল আমদানি করা যায়। স্পষ্ট যে, সুগন্ধি চাল রপ্তানি করলে একদিকে যেমন দেশে অনেক বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আসবে, অপরদিকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও জোরদার হবে।
সারাদেশে অনেকের কাছে বিপুল পরিমাণ সুগন্ধি চাল মজুদ আছে। এছাড়াও বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের অনেক সদস্য, সদস্য প্রতিষ্ঠান, অসদস্য, অনেক বড় বড় কোম্পানি এবং ছোট বড় অনেক সাদারণ কৃষক শ’শ একর বাণিজ্যিকভাবে সুগন্ধি চাল আবাদ করেন।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে করা ওই আবেদনপত্রটির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও এফবিসিসিআই সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। আবেদনপত্রটি একইদিন গত ১৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর সাবেক পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আজহার আলী বলেন, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র, কোরিয়া, ইতালি, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের অনেক দেশে প্রতি বছর সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়ে আসছিল। রপ্তানি নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশের কৃষকরা সুগন্ধি ধানের আবাদে উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। এতে কমবে দেশে সুগন্ধি চালের উৎপাদন এবং রপ্তানি আয়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: