রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন

ইংল্যান্ডে অনুশীলন করবেন সাকিব

নিউজ ডেস্ক : সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তিতে কঠিন কতগুলো শর্ত জুড়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এক বছর জাতীয় ফেডারেশন বা ফেডারেশনের অধিভুক্ত কোনো সংস্থার সুযোগ-সুবিধা নিতে পবন না তিনি। আর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় ফেডারেশন অর্থাৎ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। নিষেধাজ্ঞার ১২ মাস কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা বা চ্যারিটি ম্যাচও খেলা বারণ তার।

আইসিসির দেওয়া এই কঠিন শাস্তি অক্ষরে অক্ষরে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত পালন করে ফিরতে হবে সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞার সব শর্ত পূরণ করে প্রায় নয় মাস পার করে দিয়েছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সবকিছু ঠিক থাকলে আর তিন মাস পর ২৯ অক্টোবর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার উপযুক্ত হবেন তিনি। এর জন্য তিন মাস আগে থেকে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছেন সাকিব। বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইংল্যান্ডে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। এর পর থেকে খেলার বাইরে তিনি। নিষেধাজ্ঞা আসন্ন জেনে ভারত সফরের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেননি। সে হিসেবে প্রায় সাড়ে ১০ মাস ক্রিকেট থেকে দূরে সাকিব। এত লম্বা বিরতির পর খেলায় ফিরতে যে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, তা ভালো করেই জানেন তিনি। সেভাবে আটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করতে যাচ্ছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। তার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছ থেকে জানা গেছে, ঈদের পর পরই প্রত্যাবর্তন মিশন শুরু করবেন ৩৩ বছর বয়সী সব্যসাচী ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডে দুই মাস প্র্যাকটিস করলে ফিটনেস ও স্কিলে আগের ছন্দ ফিরে পেতে সমস্যা হবে না সাকিবের।

ক্রিকেটার সাকিবের প্রতিভার প্রশংসা সব সময় করেন টাইগার সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নড়াইল এক্সপ্রেস অনেক সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, সাবিকের সেরা ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে না। টাইগার এ জীবন্ত ক্রিকেট কিংবদন্তি ভালোভাবে ফিরলে নতুন করে ভাবার সুযোগ পাবেন বিসিবি কর্মকর্তারাও। সাকিবের অনুশীলনে ফেরার খবর তার ভক্তদের জন্যও স্বস্তির। সমর্থকরা আবার প্রিয় ক্রিকেটারের ব্যাটে-বলের পারফরম্যান্স উপভোগ করতে মনের জোর পাবেন। তার এই উদ্যোগের খবর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলেও সাড়া ফেলতে পারে। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফও খুশি হবেন।

বর্তমানে পরিবার নিয়ে আমেরিকায় আছেন সাকিব। উইসকনসিনে দুই কন্যাকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে তার। যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও দেশে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। ক্রিকেট সতীর্থদের খোঁজখবরও পৌঁছে যায় তার কাছে। ইংল্যান্ডে প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে জাতীয় দল সতীর্থ তামিম ইকবালের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে সাকিবের। কারণ চিকিৎসা নিতে ২৫ জুলাই ইংল্যান্ড যাচ্ছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। কোয়ারেন্টাইন মিলে লম্বা সময় লন্ডনে থাকতে হবে তাকে।

গত বছর ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় দলের তিনটি আন্তর্জাতিক সিরিজ মিস করেছেন সাকিব। ভারতে টি২০ ও টেস্ট সিরিজে, পাকিস্তানে টি২০ ও টেস্ট, দেশে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ হোম সিরিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হলে খেলা হবে না তার। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পূর্ণ করে বিপিএল দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পাবেন তিনি। নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এ টি২০ টুর্নামেন্ট। কভিড-১৯ মহামারির কারণে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ, আয়ারল্যান্ড সফর বঞ্চিত হতে হলো না সাকিবকে। টি২০ এশিয়া কাপ এবং টি২০ বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টও পিছিয়ে গেছে ২০২১ সালে। এদিক থেকে সৌভাগ্যবানই বলতে হবে সাকিবকে। ফিট থাকলে তার অংশগ্রহণেই ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: