সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

বাফুফে পরিকল্পনা দিলেই ঢাকায় আসবো : জেমি ডে

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি করার পর আগস্টের মাঝামাঝিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল কোচ জেমি ডে’র; কিন্তু বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলা পিছিয়ে ২০২১ সালে চলে যাওয়ায় এ ব্রিটিশ কোচের ঢাকা আসাও পিছিয়ে যায়। এ বছর তিনি আসবেন কি না এবং আসলেও, কবে সেটা নির্ভর করছে বাফুফের ওপর।

এ বছর কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট না থাকায় নভেম্বরে ফিফা ফেন্ডলি উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করেছিল বাফুফে। তবে সেটা দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের বিরুদ্ধেই। কারণ, করোনাভাইরাসে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যে বিধিনিষেধ ছিল সেটা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। যে কারণে দুরের কোনো দেশকে আনা বা কোনো দেশে গিয়ে খেলা এ মুহূর্তে সম্ভব নয়।

৯ থেকে ১৭ নভেম্বর ফিফা ফ্রেন্ডলির উইন্ডো আছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো দেশ চাইলে সর্বোচ্চ দুটি ম্যাচ খেলতে পারবে। বাংলাদেশ এ ম্যাচ দুটির জন্য শ্রীলংকা ও নেপালের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলেছে। তবে কারা শেষ পর্যন্ত খেলতে রাজী হবে সেটা জানতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, নির্বাচনের কারণে ম্যাচ নিয়ে বেশি আলোচনার সুযোগ পায়নি বাফুফে।

ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের জন্য বাফুফে শ্রীলংকা ও নেপালকে আমন্ত্রণ জানালেও দুই দেশের রয়েছে দুই রকম সমস্যা। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, ‘নভেম্বরে শ্রীলংকা ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন আছে। তারা ওই সময় দল পাঠাতে পারবে কিনা জানি না। আর নেপাল এসে খেলতে চায় না। ওখানে আমরা গেলে নেপাল রাজী হতে পারে। আগামী রোববারের পর ফ্রেন্ডলি ম্যাচ নিয়ে আবার আলোচনা শুরু করবো।’

প্রধান কোচ জেমি ডে অবশ্য এ বছর কোনো ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা কম দেখছেন। কারণ, এখনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সিডিউল স্বাভাবিক হয়নি এবং ফুটবলাররাও সাত মাস ধরে খেলার মধ্যে নেই। লন্ডন থেকে জেমি ডে বলেছেন, ‘আমাদের ৭০ ভাগ খেলোয়াড় প্রায় ৮ মাস ধরে খেলার মধ্যে নেই। তাছাড়া ভ্রমনও একটা সমস্যা। তাই আমার মনে হয় না এবছর কোনো ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে।’

তাহলে কোচের কি এ বছর আর ঢাকায় আসা হচ্ছে না? বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ মনে করছেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললেও কোচকে আনা হবে। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কোচ এসে পরিকল্পনাগুলো করতে পারবেন। আমি খুব তাড়াতাড়ি ন্যাশনাল টিমস কমিটির সঙ্গে বসবো। ফ্রেন্ডলি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। এসব ঠিক হলে সেভাবে কোচকে আসতে বলবো।’

যদি ২০২০ সালে জাতীয় দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা না হয় সে ক্ষেত্রে ফুটবলারদের ফিটনেস কিভাবে ধরে রাখবেন কোচ? এমন প্রশ্নের জবাবে জেমি ডে বলেছেন, ‘বসুন্ধরা কিংসে জাতীয় দলের যে খেলোয়াড়রা আছে তারা অনুশীলনে ফিরেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করবে। তবে বাকিদের ফিটনসে মেনটেইন করা খুবই কঠিন হবে। যে কারণে, বাকি খেলোয়াড়দের জন্য আমাদের ট্রেনিং অব্যাহত রাখতে হবে।’

কবে নাগাদ আপনার ঢাকায় আসার সম্ভাবনা আছে? ‘খুব তাড়াতাড়ি আমি বাফুফের সঙ্গে পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের ইচ্ছা ছিল নভেম্বরের ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেললে তার আগে এক দেড় সপ্তাহ অনুশীলন করানো। তারপর ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দিয়ে তাদের পরীক্ষা করা। বুঝতে পারছি না সেটা সম্ভব হবে কি না। আমার কাছে কঠিনই মনে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এ বছর কোনো ম্যাচ খেলতে না পারলে ২০২১ সালের পরিকল্পনাই সাজাতে হবে। আমার ঢাকায় ফেরার সময়টা বাফুফের পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করছে’- লন্ডন থেকে জেমি ডে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: