সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

গোয়াইনঘাটে সফল পোল্ট্রি খামারি জসীম উদ্দীন

সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭ নং নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জসীম উদ্দীন। বর্তমান সময়ের হাজারো শিক্ষিত বেকারের ভীড়ে আত্মপ্রত্যয়ী স্বনির্ভরশীল এক যুবক জসীম উদ্দীন। ছাত্র জীবনেই তিনি সুপরিকল্পীত কর্মদক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে আজ হয়ে উঠেছেন একজন সফল পোল্ট্রি খামারি।

২০০০ সালে তখন তিনি অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন, মনস্থ করেন লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু একটা করার। হাজার চিন্তাধারার মাঝে তিনি ঠিক করেন পোল্ট্রি খামার করবেন। শুরু করেন চিন্তা মোতাবেক কাজ। শুরুতেই নিজ বাড়িতে আড়াইশো ব্রয়লার মোরগের একটি সেট ঘর তৈরি করে খামার ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম বছরেই অনেকটা লাভের মুখ দেখেন, পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

তার সুনিপুন সুপরিকল্পিত কর্মদক্ষতায় আর নিজ শ্রমে আজ তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে তাঁর ৫০০০ হাজার বয়লার মুরগের খামার আছে, অধীনে আছেন ৪০ জন খামারি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়িয়ে নেন একজন পার্টনারশিপ। তিনি ও তার পাটনার ফয়জুল আম্বিয়ার যৌথ পরিচালনায় প্রতিষ্ঠা করেন গোয়াইনঘাট পোল্টি এন্ড এগ্রো ফার্ম।

যেখানে কাজ করছেন ২৫ থেকে ৩০ জন শ্রমিক। ২১০০ লেয়ার মোরগের পাশাপাশি বাচ্চা, ফিড, ঔষধ সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করে থাকেন। লেয়ার মুরগের ডিম বিক্রি করে ও আর্থিক মুনাফা পান।
জসিম উদ্দিন বলেন, আমি সরকারি চাকুরির আশা না করে তখনকার সময়ের চাহিদা মোতাবেক ব্যবসা শুরু করি, সফলতাও পেয়েছি। প্রতি মাসে আমি ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা মুনাফা পাই। তবে বর্তমান সময়ে করোনার কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে, আর্থিকভাবে অনেক লসে আছি।

তিনি আরও বলেন, যে কেউ সময়ের চাহিদা মোতাবেক সুপরিকল্পিতভাবে নিজের শ্রম আর মেধাকে কাজে লাগালে অবশ্যই সফলতা অর্জন করবে, সরকারি চাকুরির আশায় থাকতে হবে না। ন্যূনতম কিছুটা হলেও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: