সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

মুম্বাই থেকে পাওয়া বার্তাই যেন বদলে দেয় মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিং

নিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের শুরুতে ছন্দে ছিলেন না জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে বাংলাদেশ টি-২০ অধিনায়ক শেষ ধাপে চিনিয়েছেন জাত। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে তিনি ৯ বলে খেলেন ৩০ রানের অসাধারণ ইনিংস। ফাইনালে তার ব্যাট থেকে আসে ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। মুম্বাই থেকে পাওয়া এক বার্তাই যেন বদলে দেয় মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিং।

ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকইনফোকে সেই কথাই জানিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুম্বাইয়ে থাকা বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর। মাহমুদুল্লাহ তার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন চন্দ্রশেখরকে। জানিয়েছেন, দরকারের সময়ে পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

সেই বার্তার কথা তুলে ধরে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘প্রথম কোয়ালিফায়ারের আগে শ্রীনির সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়। পাওয়ার হিটিংয়ের সময় আমার ব্যাটিংয়ে কিছু একটা নেই শুনে বিস্মিত হলাম। ভিডিও দেখেও মনে হলো, কিছু একটা নেই। কিন্তু কী বুঝতে পারলাম না। এরপর চাওয়া মতো শ্রীনি কিছুটা সময় নিয়ে ভিডিওগুলো দেখলেন। তিনি তার মতামত দিলেন। তার সঙ্গে কিছু আলাপ হলো। মনে হলো, আমার কাঁধ দ্রুত উপরে উঠে যাচ্ছে।’

চন্দ্রশেখর তার ব্যাখ্যায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কাপে তামিম, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিক, ইয়াসির আলী এমনকি বোলারদের দিকে খেলায় রাখছিলাম। তারাও বিভিন্ন সময়ে আমাকে নানান দিক দেখে দেওয়ার জন্য বলেন। আমিও মনোযোগ দিয়ে টুর্নামেন্টটা দেখছিলাম। কারণ আমি নিজেকে এই টুর্নামেন্টের অংশ মনে করি। তো দেখলাম যে, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ তার পছন্দের পিক-আপ শটটা (লাইনের বলে করা ফ্লিক) খেলতে পারছেন না। টুর্নামেন্ট জুড়েই তিনি এই সমস্যায় ছিলেন।

আমি টিভিতে একই সঙ্গে নিদাহাস ট্রফির সম্প্রচার এবং মোবাইলে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের লাইভ দেখে সমস্যাটা বুঝতে পারি। এরপর রিয়াদের সঙ্গে স্বাভাবিক এক আলাপে তাকে বললাম, যদি কিছু মনে না করেন, আপনার ব্যাটিংয়ের একটা সমস্যার কথা বলতে চাই। আপনি অনেক বেশি পিক-আপ শট মিস করছেন। যা স্লগ ওভারে আপনার শট খেলার বড় শক্তির জায়গা। এরপর তিনি আমাকে আমার পর্যবেক্ষণ জানাতে বললেন।’

চন্দ্রশেখর জানান, এরপর তিনি মাহমুদুল্লাহর বিভিন্ন ভিডিও দেখতে থাকেন। কোন কন্ডিশনে, কেমন উইকেটে, কিভাবে ব্যাটিং করেছেন দেখে পর্যবেক্ষণ দেন। মাহমুদুল্লাহ শুনে বলেন যে, নেটে আগামীকালই অনুশীলন করে দেখবেন। এরপর মাহমুদুল্লাহ পরদিন সকালে নেটে এক ঘণ্টা ওই শটের ওপর অনুশীলন করেন। ফিরে পান নিজের আত্মবিশ্বাস। ধরতে পারেন এটা তার নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে মারা শট। ম্যাচেও বিষয়টি প্রয়োগ করতে পারেন বলে জানান মাহমুদুল্লাহ। সেজন্য তিনি চন্দ্রশেখরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া ফাইনালে তার ভালো খেলার জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট এবং মাশরাফিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিনিশার খ্যাত মাহমুদুল্লাহ।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: