বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

সীমাহীন দুর্ভোগ হাজারো কৃষক জনতার ও গ্রামবাসীর

(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :: কচুরিপানার স্তুপ জমে কৃষিকাজে ব্যাঘাত,উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে আনতে না পারা ও খুব কাছে বিল থাকলেও যাতায়াতের অভাবে মাছ আহরণে অনীহা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিপাকে ছিলেন একটি গ্রামের হাজারো কৃষক।অবশেষে স্থানীয় এমপি’র হস্তক্ষেপে সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে রেহাই মিলছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের কন্দরপদী গ্রামবাসীর।

দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন একটি সড়ক নির্মাণ হওয়ায় ওই গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে।এর ফলে কৃষিক্ষেত্রেও নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন হবে বলে আশা স্থানীয় কৃষকদের। জানা গেছে,কন্দরপদী গ্রামের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রধান পেশা কৃষি।কন্দরপদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে নবাইগ্ধসঢ়;গা বিল পর্যন্ত টেঙামারা কান্দা,আইজাউনা কুড়,দুবাইগা কুড়ে গ্রামের ১০০০ থেকে ১২০০ কৃষকের কৃষিজমি রয়েছে।এসব জমিতে বছরে শুধু বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে।

একটাই ফসল আবাদ হয়।বর্ষা মৌসুমে বিলের কচুরীপানার স্তুপ হয়ে পুরো জমি ভরে যায়।এতে চাষাবাদে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটতো।তাছাড়া যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় নিচু জমির ধান আনতে না পেরে ক্ষতির সম্মুখীন হতো কৃষকরা।এজন্য কন্দরপদী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গ্রামবাসীর।বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা রুবেল কিশোরগঞ্জ-২(কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)আসনের এমপি নূর মোহাম্মদ এর নজরে আনেন।

প্রেক্ষিত গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় এমপি ওই সড়কটি নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেন।সরজমিনে দেখা গেছে, ১২৫নং কন্দরপদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বিল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মিত হয়েছে। সড়কটি প্রায় ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচু। ১০ থেকে ১২ফুট প্রশস্ত। এ সড়ক দিয়ে যেকোনো পরিবহন চলাচল করতে পারবে। সড়কটি কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি সড়কটি ব্যবহার করে বিল থেকে সুস্বাদু মাছ আহরণ করেস আমিষের ঘাটতিও মিটবে গ্রামবাসীর। হাফেজ মোজাম্মেল হক মোল্লা, আনাছ, আল আমিন, আবদুল হাই ও আবদুল হান্নানসহ গ্রামের বেশ কয়েকজন জানান,এ সড়ক নির্মাণের ফলে


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: