শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টায় ৪ আসামীর সাজা

নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান মিশু নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের অর্থদন্ডও দেয়া হয়েছে। বুধলবার দুপুর ১০টায় নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক উৎপল চৌধুরী এ রায় প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত ছিদ্দিক উল্যার ছেলে আবদুল খালেক, আবদুল মোতালেবের ছেলে আবদুর রাশেদ, দেলোয়ার হোসেন বাচ্চুর ছেলে ইমাম হোসেন মাসুদ ও শিবপুর গ্রামের শহিদ আলমের ছেলে সামছুল আলম রাব্বি। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মাসুদ ও রাব্বি পলাতক রয়েছে।

উপস্থিত দুই আসামির উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসামি আবদুল খালেক ও আবদুর রাশেদকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। একই সাথে পলাতক দুই আসামি ইমাম হোসেন মাসুদ ও সামছুল আলম রাব্বিকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এডিশনাল পি.পি এ্যাড. মো. আলতাফ হোসেন। আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাড. ইসমাইল ফয়েজ উল্যাহ রাসেল ও এ্যাড. মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তি মোবাইলে কল করে নোয়াখালীর সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাটুর মোড়ের স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিশুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর মিশু আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় রহমানিয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে ঘাড়, মাথা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় মিশুকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘ ৬ মাস চিকিৎসা নিয়ে মিশু সুস্থ হয়।

এ ঘটনার পর দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মিশুর বাবা আবুল হাসেম বাদী হয়ে মিশুকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় চার জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি খালেক ও রাশেদকে গ্রেফতার করে।

এডিশনাল পি.পি এ্যাড. মো. আলতাফ হোসেন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিশুকে হত্যা চেষ্টা মামলার রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: