বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

কারা থেকে হলেন শিশুকে ভর্তি করাতে গিয়ে গ্রেফতার সেই বাবা

রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত সাত বছরের মেয়ে আদিবাকে ভর্তি করাতে গিয়ে গ্রেফতার বাবা হাবিবুর রহমান জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে তিনি মুক্ত হন। এর আগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমামের আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিননামা দাখিলের পর আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে তিনি কারামুক্ত হন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল মান্নান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরাদুল আরিফিন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। জামিন শুনানিতে মামলার বাদী মারধরের শিকার হাসপাতালের চিকিৎসক বনি আমিন উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন আসামিকে জামিন দিলে তার কোনো আপত্তি আছে কি না। তখন তিনি ‘আপত্তি নেই’ বলে জানান। এরপর আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (২৬ জুলাই) আসামি হাবিবুর রহমান তার ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুসন্তান আদিবাকে (৭) চিকিৎসার জন্য রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি না থাকা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল বা কোনো শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। এসময় আসামি উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বনি আমিনকে মারধর এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। তখন আসামির স্ত্রীও ওই চিকিৎসককে মারতে উদ্যত হন।

এসময় জুয়েল নামের একজন ওয়ার্ড বয় এগিয়ে এলে তাকেও মারতে শুরু করেন আসামি। তখন আত্মরক্ষায় তারা রুমের দরজা বন্ধ করে দেন। পরে আসামি উত্তেজিত হয় উপস্থিত নার্স রোজিনাকে মারধর করেন। এসময় তিনি হাসপাতালের দরোজা ও জানালায় লাথি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে আসামি ভিডিও করা শুরু করেন ও ফেসবুক লাইভে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।

পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। হামলায় চিকিৎসক বনি আমিনের বাম হাতের ছোট আঙুল ভেঙে যায় ও ঠোঁট কেটে যায়। ওয়ার্ড বয় জুয়েল ও নার্স রোজিনাও আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এ ঘটনায় চিকিৎসক বনি আমিন বাদী হয়ে রাজধানীর মুগদা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামি হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: