সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬ অপরাহ্ন

বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষিত হবার যুগ : উপাচার্য

দেশের সর্বত্র কর্মসংস্থানের সুযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা-২০২৩’।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় মেলাটি আয়োজন করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান ও রেজিষ্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্পটির উপ প্রকল্প পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান।

মেলাটি আয়োজনের জন্য নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আজকে নিরক্ষরতার সংজ্ঞা কিন্তু পাল্টে গেছে। লেখাপড়া না জানাকেই এখন আর নিরক্ষরতা বলে না। নাম লিখতে না পারাকে নিরক্ষরতা বলেনা। আজকে নিরক্ষরতার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিও যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ আজকে কোনো মানুষ যদি তথ্য প্রযুক্তিতে অজ্ঞ থাকে তাহলে কিন্তু তাকে ওই অর্থে শিক্ষিত বলা চলে না। তাই বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষিত হবার যুগ।”

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে জড়তা আছে সে জড়তা কাটাতে হবে। এখানে শুধুই বিজ্ঞানের ছেলেমেয়েরা পড়বে তা নয়, আজকে যারা বাংলায় পড়ছে, দর্শনে পড়ছে, ইসলামের ইতিহাস পড়ছে কিংবা এ ধরনের বিষয়গুলোতে যারা পড়ছে তাদের অনার্স সাবজেক্ট সেটা হতে পারে কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে কিন্তু একটাই ভাষা। সে ভাষাটারদিকে আমাদের সবাইকে যেতে হবে। আমরা যদি না যেতে পারি তাহলে কিন্তু পিছিয়ে যাবো। তাই আমরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদেরকে কোনো দিক থেকে পিছিয়ে রাখতে চাই না।”

প্রযুক্তির সঙ্গে নৈতিকতাকে সম্পৃক্ত করার তাগিদ দিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানের পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষাও অর্জন করতে হবে। নীতি খুব গুরুপূর্ণ একটা বিষয়। এই নীতির প্রতি একনিষ্ঠ থাকতে হবে।”

অনুষ্ঠানটি নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, “দেশের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এই মেলায় এসেছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো আবেদন করা, পরামর্শ নেওয়া, সাক্ষাৎকার এমনকি যাচাই-বাছাইয়ের পর সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।”

এ সময় প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: