রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

চাকরি হারানোর শঙ্কায় সেসিপের ১১৮৭ জন, রাজস্ব খাতে স্থানান্তর দাবি

সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) এক হাজার ১৮৭টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন ওইসব পদে সারাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।

আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে শিক্ষাভবন চত্বরে লাগাতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম বলেন, সেসিপের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত না হলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সেসিপ কর্মকর্তারা বলেন, এডিবি ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সেসিপ প্রকল্প ও ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেসডিপ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ থেকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম- সেসিপ বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা ৬ বার বৃদ্ধি পেয়ে চলতি বছরের (২০২৩ সালের) ডিসেম্বরে শেষ হবে।

তারা আরও বলেন, সেসিপ কর্মকর্তারা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কারিকুলাম বাস্তবায়ন, হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার, আইসিটিভিত্তিক শিক্ষার প্রসার, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, স্কুল-মাদরাসা মনিটরিং ও নিবিড় একাডেমিক সুপারভিশন, নকলমুক্ত পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এছাড়াও জাতীয় নির্বাচনসহ সব পর্যায়ের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন, বিজ্ঞান ও উন্নয়ন মেলা আয়োজন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা, শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আয়োজনসহ প্রশিক্ষণে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: