সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ রাসেলের ভাস্কর্য স্থাপন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রথমবারের মতো শেখ রাসেলের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে।
বুধাবর (১৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল শিশু পার্কে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এরপর উপাচার্য শেখ রাসেলের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ রাসেলের ভাস্কর্য স্থাপনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, “শেখ রাসেল শিশুপার্কসহ ক্যাম্পাসের নানা কিছুর দিকে আমরা একসঙ্গে নজর দিয়েছি, বারবার যাচ্ছি। আমাদের এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন ভাস্কর মণিন্দ্র পাল। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার তার বাসায় গিয়েছি। কাজটি দেখেছি। আমাদের পরামর্শগুলো দিয়েছি। আসলে ভালোকিছু জন্য একটামানসিক সংযোগ খুব জরুরি। সেটা আমরা বারবরা দেয়ার চেষ্টা করেছি। এর মূল কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের আদর্শ। শেখ রাসেল আমাদের কাছে নিষ্পাপের প্রতীক। তিনি সবসময় আমাদের স্মৃতির মণিকোঠায় থাকবেন।”
শেখ রাসেলের ভাস্কর্যটি যেখানে স্থাপিত হয়েছে সেই শেখ রাসেল শিশুপার্কটির কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে পার্কের সীমনা প্রাচীরের কাজ প্রায় শেষ। শিশুদের জন্য মুক্তমঞ্চও করা হয়েছে। তাদের জন্য বিভিন্ন রাইড স্থাপন করা হবে। শেখ রাসেল শিশুপার্ক হবে শিশুদের খেলাধুলো ও শরীরচর্চার অবাধ বিচরণক্ষেত্র।

শেখ রাসেল শিশুপার্কের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, “এখানে জঞ্জাল ছিল, টাইলস ইট ভাঙ্গা ছিল, এবরো থেবরো। মানুষ হাটাহাটি করতেন না। দুটো সরুপথ দিয়ে মানুষ ভবনে যাতায়াত করতো। এ পর্যায়ে আমাদের বাচ্চাদের কথা ভেবে আমরা এখানে একটি শিশুদের উপযোগী পার্ক করার উদ্যোগ নেই। সেই উদ্যোগ থেকে ইতোমধ্যেই এই পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে সে পার্কের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধতার কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও আমরা খুব অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পার্কের শুভ উদ্বোধন করতে পারবো বলে আশা করি। এখানে রাইড থাকবে। ওয়াকওয়ে থাকবে। পরিপূর্ণ একটি শিশুপার্ক হবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর। সঞ্চালনা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদার।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: