রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৭ অপরাহ্ন

ভুটানের জালে লাল-সবুজের গোল উৎসব

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আসরে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা হয়।

পরের ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দেয় প্রীতি-অর্পিতারা। তাই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। আর তাতেই ভুটানের জালে গোল উৎসব করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

শুক্রবার (৮ মার্চ) লিগপর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৬-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বল পায়ে রেখে আক্রমণভাগে আলপি ও ফাতেমাদের কর্যকর হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা দেখা গেছে বেশি। তাতে ফলও মিলেছে। রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৬-০ গোলে হারাল সাইফুল বারী টিটুর দল।

নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরুর পর ভারতের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আর এবার কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে শুক্রবার ভুটানকে হারিয়ে প্রথম ধাপে সবগুলো ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হলো তাদের।

তিন ম্যাচের দুটিতে জয়ী ভারতের বিপক্ষে আগামী রোববার (১০ মার্চ) শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচের, একাদশে কোনো পরিবর্তন না এনে ভুটানের বিপক্ষে নামে বাংলাদেশ। ত্রয়োদশ মিনিটে মিলে যায় গোলের দেখা। ফাতিমা আক্তারের লম্বা ক্রস ধরতে সুরভী আকন্দ প্রীতি অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বেরিয়ে যান। ড্রপ খেয়ে উপরে ওঠা বল হেডে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান তিনি।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু ফাঁকা পোস্টে নিজে শট না নিয়ে সতীর্থকে বল বাড়িয়ে সুযোগ নষ্ট করেন সাথী মুন্ডা। এর পরপরই দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচে চালকের আসনে বসে বাংলাদেশ।

ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দৃষ্টিনন্দন একটি গোল করেন ফাতেমা। বক্সের বেশ বাইরে থেকে এই মিডফিল্ডারের নেওয়া ফ্রি কিকে বল হাওয়ায় ভেসে লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে সরাসরি লুটোপুটি খায় জালে। পরের মিনিটে ফাতেমার কর্নারে দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা ক্রানুচিং মারমা হেডে খুঁজে নেন ঠিকানা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও ভুটানের জালে বল। এবার মৌমিতা খাতুনের আড়াআড়ি ক্রসে প্রীতি পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোলমুখেই পেয়ে যান সাথী। টোকা দিয়ে বাকি কাজ সারেন তিনি।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে বল বাড়ান মৌমিতা। প্রথম ছোঁয়ায় বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডান পায়ের শটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন থুইনু মারমা।

খানিক পর চকিত মুভে তিন জনকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষককে কোনাকুনি শটে ব্যবধান আরও বাড়ান প্রীতি। আসরে এ নিয়ে তার গোল সংখ্যা ৫টি।

বাকি সময়েও ভুটান পারেনি তেমন কিছু করতে; টানা তিন ম্যাচ হারের তেতো স্বাদ নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হলো তাদের। অন্যদিকে টানা তিন জয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনালে উঠেছে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: