বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন

ট্রিপল তামিমের প্রাপ্য : রকিবুল

চোখের সামনেই তামিম ইকবাল ফার্স্ট ক্লাসে দেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা ভেঙে ফেললেন তার। হোক বন্ধু। তারপরও খারাপ লাগবে না রকিবুলের? মানুষ তো নাকি!

খারাপ লেগেছে ঠিক। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিন শেষে তা অস্বীকারও করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব সংস্করণে বাংলাদেশের রান যার বেশি সেই তামিম রেকর্ডটা ভেঙেছেন। স্পোর্টসম্যানসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যখন দেখেন তখন আবার রকিবুলের জন্য সব ঠিক।

গতকাল প্রতিপক্ষ দলের রকিবুল মাঠে ফিল্ডিং করতে করতে দেখেছেন ২০০৭ সালে গড়া তার ৩১৩ রানের পাহাড় কীভাবে টপকে গেলেন তামিম। সে বছর জাতীয় লিগে বরিশাল বিভাগের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে খেলা রকিবুলের ইনিংসটি এতদিন ছিল দেশের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৩০০ হতে রকিবুল অন্যদের সঙ্গে তামিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরপর ৩১৩ ছাড়িয়ে গেলে রকিবুল আবার ছুটে এসে আরেকবার অভিনন্দনে সিক্ত করেন তামিমকে।

তামিমের মাইলস্টোন ইনিংসের জন্য কেকের আয়োজন করেছিল বিসিবি। রকিবুল কেক খাইয়েছেন তামিমকে, তামিমও খাইয়েছেন রকিবুলকে। পরে রকিবুল বলছিলেন, ‘ক্রিকেটার হিসাবে রেকর্ডের ক্ষেত্রে মনে হয় যে আমার রেকর্ডটা ওপরে থাক। সেদিক থেকে চিন্তা করলে একটু ওরকম (খারাপ) লেগেছে আমার কাছে। তবে স্পোর্টিং মাইন্ডে বলতে গেলে তামিমের মতো খেলোয়াড় এটা ভেঙেছে (তাতে খুশি)। ও যে মানের প্লেয়ার এবং যেমন খেলা খেলেছে তা অসাধারণ।’

তামিম-রকিবুল অনূর্ধ্ব-১৭ ক্রিকেটে একসঙ্গে শুরু করেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও একসঙ্গে খেলেছেন। রকিবুল বলছিলেন, ‘সেদিক থেকে তামিম আমার অন্যতম সেরা বন্ধু। আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনারা সবাই সাক্ষী, তামিম আজকে যেভাবে খেলেছে সে এটা ডিজার্ভ করে।’

আর তামিম তো ভেবেই পেতেন না কীভাবে রকিবুল ওই কাণ্ডটা করেছিলেন! বললেন, ‘আমি সবসময় চিন্তা করতাম ও এটা করল কীভাবে! এটা আমাদের জাতীয় দলেও কথা বলার টপিক ছিল যে কীভাবে এত ধৈর্য হয়। আর ও তো মনে হয় ৬০০-এর কিছু বেশি বলও খেলছে। আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন যে আমি কোনোদিন এটা নিয়ে ভেবেছি কি না, প্ল্যান করেছি কি নাÑ সত্যি কথা বলতে না, প্ল্যান করিনি


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: