রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

দুমকিতে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী গ্রেফতার ০১

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দুমকিতে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী চেষ্টায় বশির মুন্সী (৫০) কে দুমকি থানার এস.আই. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ গ্রেফতার করে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের কদমতলা আবাসনের ৬ নং বাসীকে ৩ নং বাসায় বসবাসকারী ৩৬ নংপূর্ব জলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া আক্তার (১১) ৯ ই অক্টোবর বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে বশির মুন্সি জোর পূর্বক শিশু শিক্ষার্থীকে রাস্তার পার্শবর্তী একটি নতুন নির্মানাধীন পাকা ভবনে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তারসাথে থাকা লাবনী আক্তার(১০) ডাক চিৎকার দেওয়ার ফলে ও ধস্তাধস্তি করে স্কুলে ছুটে আসে।

বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন বেগমকে মারিয়ার পিতা-মাতা অবহিত করলে পরিবারকে শান্তনা দিয়ে পরবর্তীতে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ঘটনার ৩দিন অতিবাহিত হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় এবং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের চাপের কারণে নির্যাতিত শিশুর অসহায় পরিবার আতঙ্কে মুখ খুলেনি বলে জানান তার পিতা শাহীন হাওলাদার। শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে তাকে ১১ অক্টোবর দিবাগত রাত ৮টার দিকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

শ্লীলতাহানীর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানসহ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অন্যদিকে মারিয়ার বাবা শাহীন হাওলাদার ক্ষোভের সাথে বলেন প্রধান শিক্ষক জেসমিন বেগমের কাছে প্রাথমিকভাবে বললেও তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখেননি।

এ বিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর(১০) ধারায়মারিয়ার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন এবং আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: