সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

ভারত- চীন উত্তেজনা, ভারতের পাশে ‘থাকবে’ মার্কিন সেনা

নিউজ ডেস্ক : প্রায় আট সপ্তাহ পরে প্রথমবার পূর্ব লাদাখের ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার আপত্তিকর অবস্থান থেকে চীন তাদের সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করেছে। কিন্তু ভারত মনে করছে, এর আগেও তারা সেনা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও, কার্যক্ষেত্রে উল্টো পথেই হেঁটেছে। এর মাঝে ভারতের জন্য সুখবর হল, আমেরিকার পক্ষ থেকে চীন ইস্যুতে ভারতকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার প্রথমে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারত-চীন যুদ্ধ বাঁধলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বশক্তি দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াবে। হোয়াইট হাউসের চীফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ বলেছেন , কোনো দেশ এককভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী হবে, তা আমেরিকা কখনই হতে দেবে না।

প্রসঙ্গত, মার্কিন নৌসেনা দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি বিমান বাহক নৌবহর মোতায়েন করেছে। সেখানে সামরিক অনুশীলনও চালাচ্ছে তারা। এই প্রসঙ্গে মিডোজ জানায়, চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরেই নিজেদের প্রতিপত্তি জাহির করে৷ ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স , মালয়শিয়া, ব্রুনেই, তাইওয়ান সকলেই তার ভুক্তভোগী। চীনের এই দাদাগিরি মেনে নেওয়া হবে না৷

মার্কিন এই অবস্থানে সিলমোহর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতির পরই তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘চীনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ গোটা বিশ্বেরই বড় ক্ষতি হয়েছে ‘৷ বরাবরই ট্রাম্প প্রশাসন করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার জন্য বেইজিং-কে দায়ী করে থাকে।

তাদের অভিযোগ, মহামারির সূচনা লগ্নে চীন তথ্য গোপন করেছিল। এই ভাইরাস-কে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে দিয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক টুইট সেই অবস্থানের সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে ব্রাসেলস-এ এক সংবাদ সন্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে চীনের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার জন্যই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে এশিয়ায় মোতায়েন করা হচ্ছে। এরপরই দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন রণতরী বহাল করা হয়েছিল। সূত্র: ফক্স নিউজ


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: