বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

ডু প্লেসির ব্যাটিং তাণ্ডবের পরও চেন্নাই সুপার কিংসের পরাজয়

নিউজ ডেস্ক : নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের তারকা ব্যাটসম্যান সাঞ্জু স্যামসন। চেন্নাই সুপার কিংসের বোলারদের তুলোধুনো করে ৩২ বলের ৯টি ছক্কায় ৭৪ রান করেছেন তিনি।

আর অসি তারকা স্মিথের ৬৯ রানের ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ২১৬ রান সংগ্রহ করেছে রাজস্থান।

জবাবে রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে পারেনি মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। মাত্র ১৬ রান পিছিয়ে থেকে ২০ ওভার শেষ হয়ে যায় চেন্নাইয়ের। হাতে রয়ে যায় ৪ উইকেট।
অর্থাৎ ২১৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে ৬ উইকেটে ২০০ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে চেন্নাই।

মঙ্গলবার শারজাহ স্টেডিয়ামে আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে রানের বন্যা বইয়ে গেছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের মতে, এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আসল রূপ।

পুরো ম্যাচে মোট ৩৩ বার বলকে সীমানার ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়েছিল দুই দলের ব্যাটসম্যানরা।

এর মধ্যে রাজস্থানের ব্যাটসম্যানরা ১৭টি এবং চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা ১৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছে। এর মধ্যে একাই ৯টি ছক্কা একাই মেরেছেন রাজস্থানের ব্যাটসম্যান সাঞ্জু স্যামসন। সবমিলেয়ে আজ একম্যাচে ৪০ ওভারে মোট রান হয়েছে ৪১৬।

রাজস্থানের ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে সাঞ্জুর মতোই তাণ্ডব চালিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ফ্যাফ ডু প্লেসি।

৩৭ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কার মারে ৭২ রান করেন তিনি। এর আগে দুই ওপেনার মুরালি বিজয় আর শেন ওয়াটসন যথাক্রমে ২১ ও ৩৩ রান করে আউট হন। ১৬ বলে ২২ রান করেন কেদার যাদব। ৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন স্যাম ক্যারন।ডু প্লেসি বিধ্বংসী ইনিংস খেলে লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যান। তিনি আউট হওয়ার পর চেন্নাইর প্রয়োজন ছিল ৭ বলে ৩৮ রান।

মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত থেকে চেষ্টা করেন সেই রান তোলার। অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে সজোরে ব্যাট চালিয়ে ২১ তুলতে সক্ষম হন তিনি। যার ফলে ১৬ রানে হেরে যায় চেন্নাই। ১৭ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি।

রাজস্থানের হয়ে রাহুল তেওয়াতিয়া নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, স্রেয়াশ গোপাল এবং টম কুরান।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেন রাজস্থানের সাঞ্জু। ১১ রানে তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের সঙ্গে জুটি বাঁধেন স্যামসন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্কোর বোর্ডে ওভারপ্রতি ১৩.১৫ গড়ে রান তুলেন তারা।

স্যামসন মাত্র ১৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। তার ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে একটা সময় মনে হয়েছিল অনায়াসেই সেঞ্চুরি পাচ্ছেন। কিন্তু দলীয় ১২তম ওভারে লুঙ্গি এনডিগির করা ওয়াইড বল খেলতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন স্যামসন। তার আগে মাত্র ৩২ বলে ৯টি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা ও মাত্র এক চারের সাহায্যে খেলেন ৭৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।

তার বিদায়ের পর অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ উইকেটের একপাশ আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন ডেভিড মিলার, রবিন উথাপ্পা, রাহুল তিওয়ারি, রায়ান পরাগরা। ইনিংস শেষ হওয়ার মাত্র ১০ বল আগে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন স্মিথ। তার আগে ৪৭ বলে চারটি চার ও সমান ছক্কায় খেলেন ৬৯ রানের ইনিংস।

শেষ দিকে ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার মাত্র ৮ বলে চারটি ছক্কায় খেলেন ২৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: