শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

৬ বছর বয়সী সাদিদের বোলিংয়ে মুগ্ধ শচীন

নিউজ ডেস্ক :: বয়স মাত্র ৬ বছর, তবুও দেশবিদেশের ক্রিকেটে হঠাৎ করেই আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে বরিশালের সাদিদ। খুদে এই লেগ স্পিনারের বোলিংয়ের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মূহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে লক্ষ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছে। শুধু তাই নয়, সেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও দৃষ্টি কেড়েছে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারেরও।

সাদিদের বোলিং নৈপূণ্যকে শচীন বলেছেন দুর্দান্ত, যা তিনি শেয়ার করেছেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও টুইটারে। শচীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট সাদিদকে নিয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিশ্বজুড়েও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বয়সেই বোলিংয়ে বিস্ময়কর টার্ন দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন হাজার-হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী। শুধু শচীন নন, কিংবদন্তি লেগ স্পিনার রাশিদ খানেরও মনে ধরেছে এই খুদে সাদিদের ভিডিও।

বরিশাল সদরের উলালঘুনি এলাকার বাসিন্দা এই সাদিদ। পুরো নাম আসাদুজ্জামান সাদিদ। পড়াশোনা করছে উলালঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে। নানাবাড়ি বরিশাল নগরের উলালঘুনি এলাকার মহাবাজ নাজির বাড়িতে থাকে সে। সেখানেই মামার সাথে তার বেড়ে ওঠা। ভবিষ্যতে জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার স্বপ্ন দেখে এই খুদে ক্রিকেটার।

সাদিদের পরিচিতজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বোলিংয়ের সাথে সাদিদের ব্যাটিংটাও সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে সে। সাদিদ জানায়, শেন ওয়ার্ন ও রাশিদ খানের স্পিন বোলিং অনুসরণ করে সে। এছাড়াও মহেন্দ্র সিং ধোনি, অজি স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা, ভারতের আরেক তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, সাকিব আল হাসান, রোহিত শর্মা, এবিডি ভিলিয়ার্স ও রবীন্দ্র জাদেজাকে ভালো লাগে তার। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে খুদে ক্রিকেটার সাদিদ আপ্লুত কণ্ঠে বলে, আমি ভাবতেই পারিনি আমার বোলিং সবাই দেখবে।

সাদিদের মামা সিরাজুল ইসলাম জানান, তিন বছর বয়স থেকেই সাদিদের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। সে প্রচুর খেলা দেখত এবং তার আগ্রহ দেখেই মামা সিরাজুল ইসলাম তাকে নিয়ে প্রতিদিন অনুশীলনে যেতেন। এলাকার সবাই তাকে ক্রিকেট খেলায় সাহায্য করে। ভাগ্নের বোলিংয়ের ভিডিও খানিকটা খেয়ালিপনায় ফেসবুকে আপলোড করেন তিনি, তবে ভাবতেও পারেন নি সেটি এতোটা ছড়িয়ে পড়বে। বিশ্বক্রিকেটের কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারও দেখেছেন এই ভিডিও, যা স্বপ্নের মতো বলেই মনে হচ্ছে।

গেলবছর মহামারী করোনার প্রভাব বেড়ে যাওয়া সাদিদ ঘরের ভেতরেই ক্রিকেট খেলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আবারও মাঠে গিয়ে খেলা শুরু করেছে। সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, তাদের ইচ্ছা সাদিদ যখন ক্লাস সেভেনে পড়বে তখন বিএসপিতে ভর্তি করার। সুযোগ হলে সাকিব আল হাসানের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করানো। তাঁরা চান, সাদিদ যেন সঠিক পরিচর্চা পায়। তার প্রতিভা যেন হারিয়ে না যায়।

এমন এক খুদে ক্রিকেটারের অনন্য প্রতিভাকে সঠিক পরিচর্চার মাধ্যমে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে পৌঁছে দেয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উলালঘুনি এলাকাবাসী, সাদিদের পরিবারের সদস্যসহ সতীর্থ ও স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, দেশজুড়ে সবাই বলছেন একই কথা, এমন প্রতিভাদের পরিচর্যার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: