বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

আত্মহত্যার আগে লাইভে যা বলেছিলেন রিয়াজের শ্বশুর

নিউজ ডেস্ক :: ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করা আবু মহসিন খানের লাশের পাশে একটি ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলেছে, সেখানে তিনি লিখেছেন ‘ব্যবসায় ধস নেমে যাওয়ায় আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমার সঙ্গে অনেকের লেনদেন ছিল। কিন্তু তারা টাকা দেয়নি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’

ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া জানান, ধানমন্ডির ৭ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর বাসার ৫০১ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসীন খান। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

এর আগে ফেসবুক লাইভে মহসীন বার্ধক্যের নিঃসঙ্গতা নিয়ে কথা বলেন। সাম্প্রতিককালে নিকটাত্মীয়দের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমার ব্যবসা এখন বন্ধ। আমি বাসায় একাই থাকি। আমার এক ছেলে থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। আমার ভয় করে যে, আমি বাসায় মরে পড়ে থাকলে, লাশ পচে গেলেও কেউ হয়তো খবর পাবে না।’

তিনি বলেন, পিতামাতা যা উপার্জন করে তার সিংহভাগ সন্তানদের পেছনে খরচ করে। প্রকৃত বাবারা না খেয়েও সন্তানদের খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। পরিবারকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিবার অনেক সময় বুঝতে চায় না। নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারলাম না। যারা দেখছেন তাদের সঙ্গে হয়তো এটাই শেষ দেখা। সবাই ভালো থাকবেন।

এরপরই নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন মহসীন। এর আগে তিনি বলেন, আমি যেটা দিয়ে সুইসাইড করার চিন্তা করছি, সেটি অবৈধ কোনো কিছু না। এই হলো আমার পিস্তলের লাইসেন্স। এক বছরের রিনিউ করা আছে। আমি এই মুহূর্তে চলে যাব। আত্মীয়-স্বজন যারা আছো… আমি যে কবরস্থানটা করেছি, সেখানে আমাকে দাফন করো না। আমাকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে যে একটা কবরস্থান হয়েছে, তোমরা ওইখানে দাফন করে দিও। ওটাই আমার জন্য ভালো হবে। কারণ প্রত্যেকটা লোক আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে- আমার বাবা-মা, ভাইরা, প্রত্যেকটা লোক। সবাই ভালো থাকো।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: