শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন

দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে গাজার ৪০ শতাংশ মানুষ

টানা আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা চলছে। ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করতে পারছে না।

এমন পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ গাজাবাসী দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিনে শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর- আলজাজিরার।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গাজার ইউএনআরডব্লিউএ বিষয়ক পরিচালক বলেন, গাজাবাসী চরম ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছেন। প্রতিটা দিন তাদের বেঁচে থাকতে, খাবার ও পানির জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

বাস্তবতা হলো আমাদের আরও ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমাদের সর্বশেষ আশা হলো মানবিক যুদ্ধবিরতি।

এদিকে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, গাজার ২৩ লাখ মানুষ চরম ক্ষুধার মধ্যে থেকে দিন পার করছেন। এদের মধ্যে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ না খেয়ে থাকার মতো অবস্থায় রয়েছেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের আরোপিত ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ এবং তার আগে টানা কয়েক বছর ধরে চলে আসা অবরোধের কারণে গাজাবাসী খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

মানবিক সহায়তার কনভয় প্রাথমিকভাবে মিসর হয়ে প্রবেশ করার মাধ্যমে তীব্র ঘাটতি বিক্ষিপ্তভাবে কমানো সম্ভব হয়েছে।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া একটি রেজুলেশনে ‘নিরাপদ এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের’ আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়নি।

কয়েকদিন বিলম্বের পরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে সাহায্য গোষ্ঠী এবং অধিকার কর্মীরা ‘দুঃখজনকভাবে অপর্যাপ্ত’ এবং ‘প্রায় অর্থহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: