শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন

গাজীপুর থেকে বরিশাল এসে ধর্ষণের শিকার, কিশোরীর আদালতে জবানবন্দি

বরিশাল প্রতিনিধি : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুঠোফোনে গাজীপুর থেকে বরিশাল এনে কিশোরীকে ধর্ষণ করার বর্ননা দিলেন ধর্ষিতা কিশোরী। আজ ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পলি আফরোজ ১৫ বছর বয়সী ধর্ষিতা কিশোরীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

ধর্ষিতার পরিবার সূত্র জানায়, ধর্ষিতা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ধর্ষণ হওয়ার বিস্তারিত বর্ননা করেন। অভিযুক্ত মিরাজ হাওলাদারের সহযোগীতায় ফয়সাল খান সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের চর হবিনগর এলাকার একটা জংগলে নিয়ে জোড়পূর্বক ১০ মিনিট ব্যাপী ধর্ষণ করে।

এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি শেষে পুনরায় ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অন্যান্য অভিযুক্তদের নিয়ে উলালঘুনি শফির গ্যারেজ সংলগ্ন পুষ্টি ইনস্টিটিউট ভবনের পিছনে নিয়ে যায়।

এসময় স্থানীয়রা ধরার চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তারা ভিকটিমকে (ধর্ষিতা) উদ্ধার করে কাউনিয়া থানায় সোপর্দ করে। খবর পেয়ে ধর্ষিতার মা বরিশাল এসে কাউনিয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের রামকাঠি এলাকার মোতালেব খানের ছেলে ফয়সাল খান (২২), আইচা এলাকার মতি হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার ( ৪০), তাদের সহযোগী মিরাজ হাওলাদার (২২),সাইদুল(২৫), সোহেল (২১)ও আলআমিনকে (২২) অভিযুক্ত করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয় বাদীর বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়নে। তারা বর্তমানে গাজীপুর থাকে। অভিযুক্তরা ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত। দুইমাস আগে ভিকটিমের সাথে মুঠোফোনে ফয়সালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ অক্টোবর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফয়সাল বরিশাল আসার আহবান জানালে ১১ অক্টোবর বরিশাল পৌঁছে। প্রথমে সবুজের সাথে দেখা হয়।পরে মিরাজ ও ফয়সালের সাথে দেখা হয়। তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। ১১ অক্টোবর সকাল থেকে রাতের মধ্যবর্তী যেকোনো সময়ে জঙ্গলে নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে ফয়সাল।

অন্যান্যরাও ধর্ষণ করার চেষ্টা কালে গ্রাম্য লোকজনের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। এ স্থানীয়রা সংবাদ থানা পুলিশকে জানানো হলে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে তার মায়ের জিম্মায় দেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: