শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আরিফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বায়েজিদুল ইসলাম মজুমদার, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান, ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা ইসলাম নিহি প্রমুখ।
মানববন্ধনে অনতিবিলম্বে খুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রশাসন হবে ছাত্রদের বন্ধু। ছাত্রদের উপর অন্যায়-অবিচার চালানো পাকিস্তানি প্রশাসনের বৈশিষ্ট্য। গণতান্ত্রিক দেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন আচরণে কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বক্তারা আরো বলেন, যেখানে ছাত্রদের যেকোনো সমস্যা এবং অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষকরাই মুখ্য ভূমিকা রাখার কথা সেখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনকে অযৌক্তিক চিহ্নিত করে প্রশাসন অযৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছে। যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং তা প্রশাসনের স্বৈরাচারীতার ইঙ্গিত বহন করে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তাঁদের আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অপসারণ এবং এক শিক্ষককে বহিষ্কারও করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং সবশেষ খবর অনুযায়ী বর্তমানে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।