বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

সিলেটের পুরকায়স্থ পাড়ায় দশ তলা ভবনের  সাইনবোর্ড আছে, টাওয়ার নেই

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটে জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক খুলইে সভার সম্মুখে চলে আসে নবীন এগ্রো এন্ড বেভারেজ কোম্পানী ও এইচ কে টাওয়ারের ছবি চটকদার বিজ্ঞাপন, টাওয়ারের সেই ছবিতে লেখা ফ্লাট বুকিং চলছে। ছবিতে দেওয়া (১০ তলা) ভবনের ছবি, যা বাস্তবে সরেজিমন ঘুরে দেখা যায় শুধু মাত্র একটি সাইনবোর্ড  আছে, নেই কোন ভবন।
সেই সাইবোর্ডের নিচে রয়েছে ঘাস আর ছোট ছোট জঙ্গল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে বিদেশ থেকে অনেকেই ফ্লাট বুকিংর জন্য যোগাযোগ করতেই বলা হয়, অর্ধেক টাকা দিয়ে আগে বুকিং করতে হবে, না হলে খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যাবে। সেই বুকিং দাতার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া অন্য একটি ফ্লাটের ভিডিও চিত্র এতে করে অনেকেই প্রবাস থেকে হয়েছেন প্রতারণার শিকার। সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যয়ম সিলেট পত্রিকার অনুন্ধান রিপোর্টে বেরিয়ে আসে যাহা বাস্তবে সাইবোর্ড আছে নেই কোন টাওয়ার। স্থানীয় দের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় কোথাও (১০ তলা) ভবন নেই আর লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পুরকায়স্থ পাড়ায় থাকা দুরের কথা।
আবারও নতুন ফ্লাট বিক্রির প্রতারণায় আলোচনায় আলোচিত ভূয়া এনজিও মালিক মো. আব্দুল কাইয়ুম। ভূমি জরিপের   সার্ভেয়ার থেকে এখন কোটি টাকার মালিক মো.আব্দুল কাইয়ুম। এক সময় তিনি মানুষের ধারে-ধারে ঘুরতেন সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে দলিল ও  সরেজমিন ভূমি জরিপের জন্য,গত দুই বছরে হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে উঠেছেন তিনি। করে নিয়েছেন ব্যাংক ব্যালেন্স, এর রহস্য খুঁজতে  বের হয় একের পর তথলের বিড়াল। জানা যায়,সিলেটে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পুরকায়স্থ বাজারে নবীন এগ্রো এন্ড বেভারেজ কোম্পানী নিয়ে নানা রহস্যেরে ধু¤্রজাল দিলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর এলাকা ও প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ঝড় উঠে।
তাকে নিয়ে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময়ে সিলেটে সংবাদ প্রকাশের দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পুরকায়স্থ বাজারের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে অফিসের সকল আসবাব পত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান নেন প্রতারণা প্রকল্পের পরিচালক। কিন্তু এ কোম্পানীর প্রতারণার অব্যাহত কার্যক্রম এখনও পরিচালনা করে যাচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজারের হাজী তালেব আলী ম্যানশনে ও তার নিজ বাড়িতে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: