শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন

বাউন্সারে বেসামাল টাইগাররা, কাটে আটকা সাকিব

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ব্যর্থ। সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে এটা প্রায় নিশ্চিত। বাকি রইলো অষ্টম স্থান নিশ্চিতের কাজ। কারণ তা না হলে যে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও মিস করতে হবে তাদের। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে খেলা বাংলাদেশ এবার অন্তত সেই সুযোগ হারাতে চাইবেনা। পরের তিন ম্যাচে তাই জেতার বিকল্প থাকছে না বাংলাদেশের সামনে।

তবে বড় তিন ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে ভাবতে হবে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে। এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতেই বেশি ভুগতে হয়েছে টাইগারদের। রানপ্রসবা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৩০০ রান করাই হয়নি তাদের। আউট হওয়ার ধরণও ছিল দৃষ্টিকটু। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার ধরণটাই প্রতিবার সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এবারের বিশ্বকাপে বারবার বাউন্সারে আটকেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ১৭বার শর্ট পিচ বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এমনকি এই ব্যাপারে অনেকসময় মুখস্থ শটও খেলেছেন। প্রতিপক্ষ বোলাররা প্রতিবার জেনে বুঝেই বাউন্সার দিয়েছেন। আর তাতে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন লিটন-মুশফিকরা।

এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৫১ বার উইকেট দিয়ে এসেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। যার মধ্যে ১৭বার তার আউট হয়েছে শর্ট পিচ বা বাউন্সারে। যার অর্থ, প্রতি তিন উইকেটের একটিতে বাউন্সারে আটকেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ইনিংসের প্রথম বলেই ট্রেন্ট বোল্টের সাজানো ফাঁদে কাটা পড়েন লিটন। তার সেই আউট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক বোলার ওয়াসিম আকরামও।

সাকিব আল হাসানের সমস্যা আরও প্রকট। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কাট করতে গিয়ে দুবার আউট হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। অথচ পুরো ক্যারিয়ারে এই কাট শটে অজস্র রান পেয়েছেন সাকিব। তার অন্যতম প্রিয় শটও এটি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কাটেই আটকেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

একই সমস্যা লিটনের। ভি-জোনে খেলতে না পারা লিটন বারবার আউট হচ্ছেন একই প্যাটার্নে। আবার অজ্ঞাত কারণে ফর্ম হারিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সবমিলিয়ে ব্যাটিং ইউনিট এই মুহূর্তে বড় রকমের বিপর্যয়ের সামনে। দলের মূল কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী নিক পোথাস দুজনেই কাজ করেন ব্যাটিং নিয়ে। তবে, এর সুফল কোনভাবেই পাওয়া হচ্ছেনা ক্রিকেটারদের।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: