বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন

বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা খাতের সংকট সমাধানে চাই কার্যকর পদক্ষেপ

বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের ফলে থমকে গেছে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এতে বেশি বিপাকে পড়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খাত। অনলাইনে তাদের যেটুকু শিক্ষাক্রম চালু ছিল সেটিও স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৬ এপ্রিলের একটি ঘোষণায়। এর মাত্র চার দিন পর ১০ এপ্রিল পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনলাইন পরীক্ষা, মূল্যায়ন ও ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় ইউজিসি। এদিকে করোনা সংকটে বহু শিক্ষার্থীর টিউশন ফি দেওয়ার সামর্থ্যও কমে গেছে। ধস নেমেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ে। তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের ঝুঁকি। সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন

প্রশ্ন :বর্তমান সংকটকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সাল্ফপ্রতিক সময়ে ইউজিসি বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। প্রথমবার অনলাইন শিক্ষাক্রম চালু করার কথা বলল। তারপর প্রজ্ঞাপন জারি করে জানাল পরীক্ষা, মূল্যায়ন ও ভর্তি নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

উত্তর : এই সংকটকালে প্রথমে ইউজিসি নির্দেশনা দিল অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার। নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে সব সদস্যকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে বলা হলো। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা নেই, তাদের সহযোগিতা করার জন্য বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধও জানানো হলো। আমার মনে হয় প্রায় সবাই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ও নতুন, তারাও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। পরে যখন একপর্যায়ে পরীক্ষা বা ভর্তির প্রশ্ন এলো, তখন হঠাৎ একটি নোটিশ পেলাম। বলা হলো, এ রকমভাবে ভর্তি বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে পরীক্ষা ও ভর্তি বাদ দিয়ে আংশিক কার্যক্রম চালালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের খুব একটা উৎসাহ থাকে না। এসব চিন্তা করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর প্রজ্ঞাপনটি রিভিউ করার জন্য আমরা আবেদন করি। এই চিঠির একটি অনুলিপি শিক্ষামন্ত্রীতেও দেওয়া হয়। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের আবেদনের উত্তরে ইউজিসি থেকে বলা হয়, অনলাইনে পরীক্ষা বা ভর্তি নেওয়ার কোনো অবকাশ আইনে নেই। এটিতে আমরা কিছুটা হতবাক হয়ে যাই। এই বিষয়টি নিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার আলাপ হয়। একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। এরপর মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মতিক্রমে তার বরাবর আমরা চিঠি দিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে পৌঁছানোর।

প্রশ্ন :ইউজিসির এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করা জরুরি বলে কি মনে করেন?

উত্তর : আমি মনে করি ইউজিসি একটি কমিশন। উচ্চশিক্ষার বিষয়ে তারাই রেগুলেটরি অথরিটি। তারা যা রেগুলেট করবে আমরা সেভাবে চলব। কমিশন যখনই মনে করবে নির্দেশ দেবে। সেটি আমরা মানতে বাধ্য। তবে আমরা মনে করি যে কোনো আইন বা নিয়ম করতে গেলে বা কোনো ধারা-উপধারা বা কোনো পলিসি করতে গেলে সেটি যদি সংশ্নিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করা হয়, তাহলে তা আরও গ্রহণযোগ্য হয়। একইভাবে কার্যকর করতেও সুবিধা হয়, ফলও ভালো আসে। যদিও আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার জন্য ইউজিসি বাধ্য নয়। তবুও আমরা অনুরোধ করব, আসুন আলাপ-আলোচনা করে ভালো সিদ্ধান্ত যেটি হয় সেটিই কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তাহলেই দেশ ও জাতি উভয়েই উপকৃত হবে।

প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বলছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের যে অবকাঠামো আছে, সেখানে অনলাইনে ক্লাস বা পরীক্ষা নেওয়া একই সঙ্গে খুব কঠিন হবে এবং যথাযথও হবে না।

উত্তর : এই কথাটা একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। অনেক জায়গায় এমন আছে। প্রথমত, যারা পরীক্ষা দিতে পারবে না, তাদের পরীক্ষা আমরা পরে নেব। দ্বিতীয়ত, অনলাইন শিক্ষার জন্য কিন্তু ফোরজি অত্যাবশ্যক নয়। ইতোমধ্যে আমরা গবেষণা শুরু করেছি দেখতে যে, কেউ যদি শুধু ফিচার ফোন এবং টুজি কানেকশন দিয়েও পড়তে বাধ্য হয়, তাহলে তার জন্য অনলাইন শিক্ষার রূপটা কী হবে। পরীক্ষার ব্যাপারে শুধু এটাই বলব যে, আমাদের প্রচলিত পরীক্ষার ধারাই সবচেয়ে ভালো নিয়ম এটাও কিন্তু এখন আর কেউ বলে না। আপনার ‘ওপেন বুক টেস্ট’ পদ্ধতি আছে, অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক ও প্রজেক্ট ভিত্তিক মূল্যায়ন আছে- যেখানে কে কী মুখস্থ করে এসেছে, কে কী দেখে লিখল এসব একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। অতএব অনলাইনে পরীক্ষা শুধু সম্ভবই নয়, শিক্ষার পদ্ধতি হিসেবেও আমাদের আরও আধুনিক পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ এখানে আছে। যেমন, জুম অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া যায়। সারাবিশ্বেই এটা চলছে।

এখানে সরকার ও টেলিকম কোম্পানিগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের অব্যবহূত ব্যান্ডউইডথের সামান্য অংশ উন্মুক্ত করে দিলেও অতি কম দামে টেলিকম কোম্পানিগুলো সেটুকু সংযোগ করিডর ‘বিশেষ শিক্ষা প্যাকেজ’ হিসেবে দিতে পারে। এতে করে শিক্ষার্থীরা কম খরচে পর্যাপ্ত কানেকটিভিটি পাবে।

প্রশ্ন : দেখা গেল যখন পরীক্ষার সময় এলো, তখন কোনো একটি এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেল। সেক্ষেত্রে সমাধানটা কীভাবে হবে?

উত্তর : এ জন্যই অনলাইনে সর্বনিম্ন যেটুকু যোগাযোগ সব শিক্ষার্থীর পক্ষে পাওয়া সম্ভব, সেটি মাথায় রেখেই শিক্ষাক্রম সাজাতে হবে। অনলাইন মানেই কিন্তু লাইভ ভিডিও নয়। এখানে অনেক ধরনের ‘ ‘লো ফাই’ উপায় আছে। এসব নিয়ে আমাদের শিক্ষক-অধ্যাপকরা ইতোমধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন। আমার মনে হয় এসবের জন্য পরীক্ষা স্থগিত রাখা ঠিক নয়। কারণ এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে তার কোনো ঠিক নেই। এতে শিক্ষা কার্যক্রম যদি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কী হবে? গোটা জাতি কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের তো বের করতে হবে সমস্যা সমাধানের কী কী উপায় আছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই একটি পথ বের করতে হবে যেন সারাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল করা যায়। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের করোনাভাইরাস রোধে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, সেখানে আমাদের দেশে অনলাইনে পড়াশোনা কিংবা পরীক্ষা-মূল্যায়ন কেন সম্ভব হবে না? এটিই আমি বুঝি না। না হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না।

প্রশ্ন : ইউজিসি বলছে বর্তমান পরিস্থিতির ফলে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে টিউশন ফি বা ভর্তি ফি দেওয়া সম্ভব নয়। এ অবস্থায় তাহলে কীভাবে ভর্তি পদ্ধতিটা সম্ভব হবে?

উত্তর : অনেকের ভর্তি ফি দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলা হচ্ছে, আবার অনেকের তো আছে। আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা বিশেষ করে সাধারণ যে কর্মচারীরা আছেন, তারাও তো আর্থিক সংকটে পড়ে যাবেন। তাদের তো আয়ের অন্য কোনো পথ নেই। এটাও তো আমাদের ভাবতে হবে। সেখানে যদি কেউ টিউশন ফি দেয়, ভর্তি ফি দেয়, তাহলেও তো সেই টাকাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতে ব্যয় করা যাবে। যারা এখন দিতে পারবে না, আমরা তাদের কাছ থেকে পরে নেব। তাই ফি নিয়ে এই মুহূর্তে আমরা কোনো চাপ দিচ্ছি না। পেমেন্ট সিস্টেমের অনেক ধরনের পদ্ধতি আছে। যেমন- প্রথমে সেমিস্টারের শুরুতে ফিসের কিছু অংশ দেওয়া যায়, পরে আস্তে আস্তে টিউশন ফিস পরিশোধ করার সুযোগও আছে। এ পরিস্থিতিতে সবকিছু অবশ্যই মানবিক দৃষ্টিতে দেখা হবে।

প্রশ্ন: অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নাকি শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না বা দিতে পারছে না? এটা কি তারা ইচ্ছা করেই করছে, নাকি তাদের সত্যি সত্যি কোনো সমস্যার কারণে হচ্ছে?

উত্তর : গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়তো আর্থিক সামর্থ্য বা সচ্ছলতা আছে, তারা হয়তো বেতন দিতে পারে। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সচ্ছলতা নেই। বিশেষ করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, যাদের প্রতিষ্ঠার কেবল কয়েক বছর হয়েছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয় খুবই সংকটে পড়ে যাবে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে তাদের অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা চাকরি করছেন, তাদেরও জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাবে। এ ছাড়াও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বাড়ি ভাড়া আছে সেটিও-বা কীভাবে দেবে? যেমন- আমার ইউনিভার্সিটিতেও পুরো বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। বেতন কাটার কথা যেটা বলা হচ্ছে, এটা যারা বলছেন তারা সঠিক বলেননি। বেতন কারও কাটা হয়নি। বর্তমান সংকট পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিরত সবার আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যতটুকু বেতন দেওয়া সম্ভব, সেটি সমন্বয় করে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রশ্ন : অনেকের অভিযোগ- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্য করছে, আবার অনেক প্রতিষ্ঠানকে দেখা যাচ্ছে, গুরুতর অর্থ সংকটে আছে। এই যে বৈপরীত্য, এর কারণ কী?

উত্তর : বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে গেলে কেউ যদি মনে করেন যে বাণিজ্য করছে, এ কথাটা আমি মানতে রাজি নই। এটি যুক্তিসঙ্গতও নয়। আমাদের তো এটি ব্যবসা নয়। আমরা সেবা দিচ্ছি। এখনও যারা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের মেম্বার, নিয়মিতভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে হয়। কারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি থেকে যে অর্থ আসে সেটি অনেক সময় যথেষ্ট নয়। তখন তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। অনেক সময় ভর্তি কম হয়, তখন ট্রাস্টি বোর্ডের মেম্বারদেরই চালিয়ে নিতে হয়। অতএব ভর্তি করতে গেলেই যদি বলা হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্য করে- এ কথাটা সঠিক নয়।

প্রশ্ন : এই যে আর্থিক সংকটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পড়ছে, সেটি মোকাবিলায় সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা নেওয়ার কি কোনো পরিকল্পনা আছে?

উত্তর : আমরা একটি চিঠি দিয়েছি। বিশেষ করে যারা চাকরিরত আছেন- সাধারণ কর্মচারী, কর্মকর্তা, শিক্ষক; তাদের জন্য আমরা একটি প্রণোদনা চেয়েছি। আবার যখন আমাদের অবস্থা স্বাভাবিক হবে, তখন এই অর্থ পরিশোধ করে দেব। তা না হলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যেসব শিক্ষার্থী, তাদেরও কিন্তু ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। সেজন্য আমরা চাচ্ছি- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন, তার থেকে আমাদের একটি অংশ বেতন বাবদ দেওয়া হোক। আমরা আবার ফেরত দিয়ে দেব। এটা আমরা আশ্বাস দিতে পারি। আমরা এ ব্যাপারে আবেদন করেছি মন্ত্রী বরাবর।

আরেকটা বিষয় বলতে চাই, আগে যুদ্ধ হয়েছে মানুষে মানুষে, এবার যুদ্ধ হচ্ছে মানুষের বিরুদ্ধে। মানবজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে অদৃশ্য একটি শত্রু। আবার সামনে যে যুদ্ধ আসছে. সেটি হলো অর্থনৈতিক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে প্রয়োজন মেধা ও দক্ষতার। বর্তমান পরিস্থিতি যদি দীর্ঘ হয় তাহলে লেখাপড়া কিংবা উচ্চশিক্ষায় বিঘ্ন ঘটলে মেধা ও দক্ষতায় যেন পিছিয়ে না পড়ি সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। আশা করি সরকার যেহেতু জনগণ ও দেশের স্বার্থেই কাজ করে, তাই বিষয়টি উপলব্ধি করবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে চালানো যায়, সেটি বের করতে হবে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ থাকল। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: