মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

গাফ্‌ফার চৌধুরীকে প্রেসক্লাবে শেষ শ্রদ্ধা

নিউজ ডেস্ক :: দেশবরেণ্য সাংবাদিক, লেখক, কলামিস্ট ও একুশের অমর গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর দ্বিতীয় জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টা ৭ মিনিটে প্রেসক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক নেতা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।

এর আগে শহীদ মিনার থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ৩টা ১০মিনিটে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হয়। এরপর বেলা ৩টা ২২ মিনিটে সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৪টায় গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শনিবার বেলা ১১টার কিছু সময় পর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবদুল গাফফার চৌধুরীর লাশ এসে পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজম্মেল হক।

সেখানো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া। সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রীরা। কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

বাঙালির অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা গাফফার চৌধুরী একাত্তরের মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত গাফফার চৌধুরী স্বাধীনতার পর থেকে প্রবাসে ছিলেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: