শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

বরিশাল নগরীর জেল খাল পলিথিন আর প্লাস্টিক বর্জ্য পানির প্রবাহ বন্ধ

বরিশাল প্রতিনিধি : ময়লা বা অন্য কোন বর্জ্য নেই। এ যেন এক পলিথিনের স্তুপের রাজ্য। খনি বললেও যথার্থ বলা হবে না। চিত্রটি নগরীর জেল খালের। নিজস্ব অর্থায়নে কয়েকদিন ধরে এই খালে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। পলিথিনের এমন স্তুপ দেখে অনেকটা বিস্মিত হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ বিসিসির এই কাজ তদারকি কর্মকর্তারাও।

খাল পরিচ্ছন্নতা কাজে পলিথিনের এমন স্তুপের দেখা মিলবে সে বিষয়ে ধারনা ছিলো না তাদের। ফলে যে গতিতে পরিচ্ছন্নতা কাজ এগিয়ে যাবার কথা সে গতির কয়েকগুন হ্রাস পেয়েছে। এমনকি পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে কাজ বন্ধেরও শংকা তৈরী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কাজ চলাকালীন সময়ে পলিথিনসহ কোন ধরনের বর্জ্য না ফেলার জন্য খালের আশেপাশের বাসিন্দা ব্যবসায়ীসহ নগরবাসীর প্রতি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)।

তবে এ কাজে নগরবাসীসহ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোকে অবহিত ও পাশে রাখার প্রয়োজনীয়তা ছিলো বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
পরিচ্ছন্ন কাজের ৬ষ্ঠ দিনে দেখা গেছে পরিচ্ছন্নতা কাজে ব্যবহৃত পরিস্কারক যন্ত্রে (ক্রেন) উঠে আসছে পলিথিনের স্তুপ সাথে প্লাস্টিক বর্জ্য। কোথায় কোন মাটির ছিটে ফোটা নেই। অনবড়ত এমন পলিথিন ও প্লাস্টিক উঠতে থাকায় অনেকটা বিস্মিত হচ্ছেন পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। জানতে চাইলে পরিচ্ছন্নতা কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা বিসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য আমাদের কাজে বড় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে।

প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক ময়লা বা বর্জ্য উত্তোলন করা হচ্ছে। তার মধ্যে বলতে গেলে সবই পলিথিন ও প্লাস্টিক। মাটি বা অন্য কোন বজ্যের ছিটেফোটাও নেই। তিনি বলেন গত ৬ দিনে ৩’শ মিটারের বেশী খাল পরিস্কার করা হয়েছে। যাতে সবই ছিলো পলিথিন । তিনি আরো বলেন পলিথিনের এমন স্তুপ নিঃসন্দেহে আমাদের কাজের গতি অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তবে সব বাধা উপেক্ষা করে কাজ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: